প্রতিষ্ঠার পর অনেক বন্ধুর ও কন্টকাকীর্ণ পথ বেয়ে এ প্রতিষ্ঠানটিকে চলতে হয়েছ। কিন্তু প্রতিটি সঙ্গীন অবস্থায়ই প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ দায়েম উল্লাহ (র:) পাশে পেয়েছেন তাঁর প্রতি অনুরক্ত ও নিবেদিতপ্রাণ এলাকাবাসীকে। এ প্রতিষ্ঠান যেন হুজুরের প্রতি অনুরক্ত শ্রেণি এবং এলাকাবাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নেয়। সকলের বহুমাত্রিক সহযোগিতায় এ মাদ্রাসা পথ চলতে থাকে।
১৯৯১ সালে দাখিল (এস.এস.সি) স্তরে পাঠদানের অনুমতি লাভ করে এবং স্বীকৃতি ও এমপিও লাভ করে যথাক্রমে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে। একই সাথে দাখিল স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হয় ১৯৯৪ সালে। এই ধারাবাহিকতায় অত্র মাদ্রাসা আলিম (এইচ.এস.সি) স্তরে পাঠদানের অনুমতি লাভ করে ১৯৯৪ সালে।
১৯৯৫ সালে সৈয়দ দায়েম উল্লাহ (র:) এর ইনতিকালের পর তাঁরই প্রিয় দৌহিত্র বর্তমান গদ্দিনাশীন সৈয়দ ফয়েজী মোহাম্মদী আহাম্মদ উল্লাহ (মা.জি.আ) প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেন। এর অব্যবহিত পরেই ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ সালে আলিম পর্যায়ে যথাক্রমে পাঠদানের স্বীকৃতি ও এমপিও লাভ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ২য় মাদ্রাসা হিসেবে অত্র মাদ্রাসার আলিম স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয় ২০১১ সালে। সমৃদ্ধির পাখার আরেকটি পালক যোগ হয় ২০১7 সালে। সেই বছর অত্র মাদ্রাসা ফাজিল স্তরে পাঠদানের অনুমতি লাভ করে। ২০21 সালে ফাজিল অধিভূক্তি লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ যাবৎ পথ চলার নবীনগর থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণের আন্তরিক সমর্থন ও ঐকান্তিক প্র্রচেষ্টা এ চলার গতিকে বেগবান করেছে।
সুফিয়াবাদ শাহ্ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ (র:) ফাজিল মাদ্রাসাটি ২.32 একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রায় তিন দশকে মাদ্রাসাটি আশাতীত গতি লাভ করেছে এবং নানা পত্র-পল্লবে সুশোভিত হয়েছে।
শিক্ষাবান্ধব মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এ মাদ্রাসায় বর্তমানে রয়েছে হিফজ বিভাগ, এতিমখানা, ছাত্রী হোস্টেল, পে হোস্টেল, অত্যাধুনিক ডিজিটাল ল্যাব, বিজ্ঞানাগার ও সুপরিসর গ্রন্থাগার। মাদ্রাসার ভূমি অধিগ্রহনের সময় হৃদয়বান এলাকাবাসীর অকৃত্রিম বদান্যতা আমাদের আজও আপ্লুত করে।
একই সাথে মাদ্রাসার ছাত্রী হোস্টেল, পে হোস্টেল ও বধির্ত একাডেমিক ভবন নির্মাণে ও শিক্ষাসহায়ক নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নে দায়েমী ফাউন্ডেশনের সক্রিয় সহযোগীতা মাদ্রাসা ঈপ্সিত অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত নিয়মিত গভনিংর্বড়ি দ্বারা মাদ্রাসা পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে অত্র মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন 3০ (ত্রিশ) জন সম্মানিত শিক্ষক। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে ৩ (তিন) জন ৩য় শ্রেণির এবং ৬ (ছয়) জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী।