ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের গন্ডিতে আবদ্ধ না থেকে সত্যিকার অর্থেই দেশ ও জাতির সমসাময়িক নানা প্রয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা পালনে এ মাদ্রাসা সর্বদা জাগরুক রয়েছে। ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালের বন্যা, জঙ্গিবাদ, মাদক, উগ্রতা, মহামারী ইত্যাকার বিবিধ জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ প্রতিষ্ঠান তার দায়বদ্ধতা থেকে সচেতনতা ও প্রতিকারমূলক নানা দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করে আসছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নৈতিক মান উন্নতিকরণ ও দেশাত্ববোধ জাগ্রতকরণে পৃথক সেশন ও সচেতনতামূলক সভা নিয়মিত আয়োজন করা হচ্ছে।
সমাজের সকল শ্রেণির সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে অত্র প্রতিষ্ঠানের পথচলা। বিশেষত সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির
শিক্ষা বিস্তারে এই প্রতিষ্ঠানের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। আগামীতে কামিল (এম.এ) পর্যায়ে শিক্ষাদান চালু করার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রদানের কাঠামোগত দিকটি আমরা ষোলকলায় পূর্ণ করতে চাই। অতীতের ন্যায় আগামীতেও আমরা এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধি ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সম্মানিত এলাকাবাসী, সচেতনমহল, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতŲবŲন্দের হৃদয় নিংড়ানো সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করি। এই প্রতিষ্ঠান আমাদের আপনাদের সকলের।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় অত্র মাদ্রাসা কৃতিত্বের ধারা অব্যাহত রেখেছে। পাশের হার বোর্ডবৃত্তি ও জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় বিগত বছরগুলোতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রায় বরাবরই সেরা মাদ্রাসা স্থান অক্ষুন্ন রেখেছে। তাছাড়া পাশাপাশি শিক্ষাসহায়ক র্কাযক্রমে রেখে চলেছে সাফল্যগাঁথা। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা বিজ্ঞান মেলায় কলেজ পর্যায়ে ১ম স্থান স্থান এবং ২০১৯ সালে উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেছে। এছাড়া প্রতিবছরই উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি কৃতিত্বের ধারা অব্যাহত রাখছে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ এবং সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০22 শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত সর্ববিধ মানদন্ডের নীরিখে মাদ্রাসা ক্যাটাগরিতে বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে।